বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়াল ৫৪৪। এছাড়া একই সময় নতুন করে ১ হাজার ৫৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ২৯২ জনে।
আজ বুধবার (২৭ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান। সাধারণত দৈনিক সকাল ৮টা পর্যন্ত এ হিসাব হালনাগাদ করা হয়।
তিনি জানান, ৪৮টি ল্যাবে পিসিআরের মাধ্যমে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে ৭ হাজার ৮৪৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের দিনের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয় ৮ হাজার ১৫টি। এতে পজেটিভ এসেছে ১ হাজার ৫৪১টি। এ নিয়ে এযাবৎ মোট নমুনা পরীক্ষার দাঁড়াল ২ লাখ ৬৬ হাজার ৪৫৬টিতে। আর মোট আক্রান্ত শনাক্ত দাঁড়াল ৩৬ হাজার ৭৫১ জনে।
তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ৩৪৬ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ হাজার ৯২৫ জন।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪২ শতাংশ।
যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ২২ জনের মধ্যে ২০ পুরুষ এবং দুজন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ১০ জন, এছাড়া চট্টগ্রামের ১০ জন এবং সিলেট বিভাগের দুজন ছিলেন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২১ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন একজন।
তাদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সসীমার ছিলেন দুজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সসীমার মধ্যে দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে সাতজন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের বয়সসীমার ছিলেন একজন।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৫৫ লাখের বেশি। আর মৃতের সংখ্যা তিন লক্ষাধিক। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর মার্চ মাস শেষে ৫০ জনের মতো শনাক্তের কথা জানা গেলেও এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের হার বাড়ে খুব দ্রুত।